লেখক পরিচিতি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশাল কবি প্রতিভার অধিকারী হলেও তিনি অনেক প্রবন্ধ রচনা করেছেন। ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ মে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে তাঁর জন্ম। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। তাঁর জীবনকথা অবলম্বনে তিনি ‘জীবনস্মৃতি’ নামক এক প্রবন্ধ গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর প্রবন্ধগুলিতে থেষ্ট শিক্ষার উপকরণ মেলে। ১৯৪১খ্রিস্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিষয় সংক্ষেপ
লেখকের জ্যোতিদাদার উদ্যোগে বৃদ্ধ রাজনারায়ণবাবুর সভাপতিত্বে কলকাতার গলির এক পোড়ো বাড়িতে স্বাদেশিকদের সভা বসত। প্রকৃতপক্ষে গোপনীয়তা রক্ষা করে একটা খ্যাপামি ছিল এই সভার উদ্দেশ্য। সেই সভায় রবীন্দ্রনাথও সদস্য ছিলেন। বীরত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সাহিত্যে প্রচুর আয়োজন থাকে। রাজ্যের মধ্যে বীরধর্মের রাস্তা না রাখলে মানবধর্মকে বিড়া দেওয়া হয় বলে লেখক মনে করতেন। তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকার কঠোর হলে লেখকদের এই সভার অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারত, তবে তা ঘটেনি।ভারতবর্ষের সার্বজনীন পোশাক হিসেবে লেখকের জ্যোতিদাদা নানা ধরনের নমুনা হাজির করেন। পায়জামার ওপর একটা কাপড় ভাঁজ করে একটা কৃত্রিম মালকোঁচা জুড়ে তখন সার্বজনীন পোশাক তৈরি হলো এবং শোলার টুপি ও পাগড়ি মিশিয়ে একটা শিরোভূষণ তৈরি হলো। জ্যোতিদাদা তাই পরে নির্দ্বিধায় কলকাতার রাস্তায় যাতায়াত করতেন।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
১.১ স্বাদেশিক সভা কার উদ্যোগে হয়েছিল? কে সভাপতি ছিলেন?
উত্তর- জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে স্বাদেশিক সভা বসত। বৃদ্ধ রাজনারায়ণ বসু সেই সভার সভাপতি ছিলেন।
১.২ লেখক নিজেকে অবাচীন বলেছেন কেন?
উত্তর- লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তখন বয়সে নবীন। স্বাদেশিক সভায় গুরুত্ব বোঝার মতো শক্তি তাঁর ছিল না। হই লেখক নিজেকে অর্বাচীন বলেছেন।
১.৩ “সেই পূর্বস্মৃতির আলোচনা করিয়া আজ আমরা হাসিতেছি।”— লেখক এরূপ মন্তব্য কেন করেছেন?
উত্তর- লেখকদের স্বাদেশিক সভার সদসারা ব্রিটিশদের শাসনতান্ত্রিক অফিস ও ফোর্ট উইলিয়ামের কোনো ইটকেও খাে পারেননি। ফলে স্বাদেশিক সম্ভার ব্যর্থতাকে উপলক্ষ্য করেই লেখক এরূপ মন্তব্য করেছেন। পূর্বস্মৃতিটি হলো স্বাদেশিক সভার আলোচনা ও কার্যকলাপ।
১.৪ তিনি ক্রুপেমাত্র করিতেন না— তিনি কে? কোন প্রসঙ্গে লেখক একথা বলেছেন?
উত্তর- তিনি লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দানা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। সার্বজনীন স্বদেশি পোশাক পরিধান প্রসঙ্গে লেখক আলোচা মন্তব্য করেছেন। পায়জামা বিজাতীয় বলে তার ওপর একটা কাপড়ের মালকোচা এবং শোলার টুপির সঙ্গে পাগড়ির সংমিশ্রণে এক শিরোভূষণের কথা এখানে বলা হয়েছে।