কবি পরিচিতি
বিশিষ্ট কবি ও অধ্যাপক প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জুলাই কলকাতা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর লেখা কাব্যগ্রন্থগুলি হল এক ঋতু, সদর স্ট্রীটের বারান্দা, নিজস্ব ঘুড়ির প্রতি, হাওয়া স্পর্শ করো ইত্যাদি। ‘অলিন্দ’ নামে একটি কবিতা পত্রিকার তিনি সম্পাদক ছিলেন।
কবিতার সারাংশ
ঘুরে দাঁড়াও কবিতায় কবি মানুষকে এক বার্তা দিয়েছেন, সেটি হলো রাস্তায় চলার পথে যখন আমাদের পিছনে কোন গাড়ি যানবাহন এসে পড়ে আমরা সরে যায় তাদেরকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য ঠিক তেমনভাবেই আমরা আমাদের জীবনে অন্যকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য সবসময় সরে দাঁড়ায় কিন্তু এবার থেকে কবি আমাদের সেই ভুলটি করতে বারণ করেছেন| কবি বলেছেন সরতে সরতে এমন জায়গায় এসে উপস্থিত হয়েছে যেখানে আর কোনো সরোবর জায়গা নেই তাই কবি বলেছেন এবার সকলকে ঘুরে দাঁড়াতে এই পরিবেশ এত যানবাহন এর কারণে দূষিত হয়ে পড়েছে সবুজ-শ্যামল গাছগুলো আজ ঝুলি পুরো মরে নষ্টের পথে তাই কবি বলেছেন এই যানবাহনকে এখনই যদি প্রতিরোধ করা না যায় তাহলে একদিন পৃথিবী থেকে সবুজ ধ্বংস হয়ে যাবে আর এই পরিবর্তনের জন্য তোমাকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে তোমাকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে|
হাতে কলমে
১.১ প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত সম্পাদিত কবিতা পত্রিকাটির নাম কী?
উত্তর- প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত সম্পাদিত কবিতা পত্রিকাটির নাম ‘অলিন্দ’।
১.২ তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর– তাঁর লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম ‘এক ঋতু ও ‘সদর স্ট্রীটের বারান্দা।
২। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
২.১ কবিতায় কবি কোন আহ্বান জানিয়েছেন?
উত্তর- কবিতায় কবি ঘুরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
২.২ ‘ছোট্ট একটা তুর্ক করে বাইরেটা পালটে দাও’- ‘বাইরে ‘টায় কী ধরনের বদল ঘটবে বলে কবি আশা করেন? হ সেই কাঙ্ক্ষিত বদল ঘটলে জীবন কীভাবে অন্যরকম হবে বলে কবি মনে করেন?
উত্তর- কবি আশা করেন সাইকেল রিকশাগুলো বনে বনান্তরে চলে যাক এবং কাদায় ভরা রাস্তাগুলো ছায়াপথের মতো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠুক। গাছেরা নদীজলে স্নান করে নির্মল হোক এবং উপাস্তের শহরতলি জেগে উঠুক। সহজ সেই কাঙ্ক্ষিত বদল সম্ভব হলে আমাদের জীবন সহজ বাসযোগ্য হবে এবং আমাদের মেরুদণ্ড ঋজু রেখে আমরা বাঁচতে পারব অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে।
২.৩ সরতে সরতে সরতে তুমি আর কোথায় সরবে? কবি কোথা থেকে এই ‘সরণ’ লক্ষ করেছেন? এক্ষেত্রে তাঁর দেওয়া পরামর্শটি বাঁ?
উত্তর- কবি ন্যায়ের পথ থেকে বা প্রতিবাদের পথ থেকে এই সরণ লক্ষ করেছেন। এক্ষেত্রে তাঁর পরামর্শ ঘুরে দাঁড়ানো বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ করার।
২.৪ ‘এবার ঘুরে দাঁড়াও’। আর ‘এখন ঘুরে দাঁড়াও’। —পক্তি দুটিতে ‘এবার’ আর ‘এখন’ শব্দদুটির প্রয়োগ সার্থকরা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর- প্রথম উদ্ধৃত অংশে ‘এবার’ বলতে তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় উদ্ধৃত অংশে ‘এখন’ বলতে অস্তিত্ব সংকটে উপনীত অবস্থাকে নির্দেশ করা হয়েছে, অর্থাৎ যখন আর অপেক্ষা করলে মৃত্যু অনিবার্য।
৩. নির্দেশ অনুসারে বাক্য পরিবর্তন করো :
৩.১ তুমি আর কোথায় সরবে? (প্রশ্ন পরিহার করো)
উত্তর- তোমার আর সরার জায়গা নেই।
৩.২ এবার ঘুরে দাঁড়াও। (না-সূচক বাক্যে)
উত্তর– এবার ঘুরে না দাঁড়ালে চলবে না।
৩.৩ তুমি যদি বদলে দিতে না পারো তাহলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে। (সরল বাক্যে)
উত্তর- তুমি বদলে দিতে না পারলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে।
৩.৪ নইলে সরতে সরতে সরতে তুমি বিন্দুর মতো মিলিয়ে যাবে। (প্রশ্নবোধক বাক্যে)
উত্তর- নইলে সরতে সরতে তুমি কি বিন্দুর মতো মিলিয়ে যাবে না?
৩.৫ গাছগুলো নদীর জলে স্নান করে আসুক। (নির্দেশক বাক্যে)
উত্তর- গাছগুলোর নদীর জলে স্নান করে আসা হোক।
৪. ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো : বনান্তর অন্য বননিত্য সমাস।
ছায়াপথ ছায়াম – মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
উপান্ত— অস্তের সমীপে অব্যয়ীভাব সমাস।
সাইকেল রিকশা– সাইকেলের ন্যায় রিকশা-উপমান কর্মধারয় সমাস।
অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
১. কবি কি করে বাইরে টাকে বদলে দিতে বলেছেন ?
উত্তর– কবি ছোট্ট একটা তুক করে বাইরে টাকে বদলে দিতে বলেছেন |
২. সাইকেল রিক্সা গুলোকে কোথায়চলে যেতে বলেছেন কবি?
উত্তর– কবি সাইকেল লেখাগুলোকে বনে বনান্তরে চলে যেতে বলেছেন |
৩. যদি এই বদল নানা যায় তাহলে কি হবে?
উত্তর- যদি এই বদল না না যায় তাহলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে |
৪. কবি গাছগুলিকে কি করতে বলেছেন?
উত্তর– কবি গাছগুলিকে নদীর জলে স্নান করে আসতে বলেছেন |
৫. কাদা ভর্তি রাস্তাগুলোকে কবি কোথায় উঠে আসতে বলেছেন?
উত্তর– কাদা ভর্তি রাস্তাগুলোকে কবি ছায়াপথের কাছাকাছি উঠে আসতে বলেছেন|