কবি পরিচিতি
জগদীশচন্দ্র বসু ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত বিক্রমপুরে জন্মগ্রহন করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম অন্তরঙ্গ জগদীশচন্দ্র বিশিষ্ট সাহিত্যানুরাগী ছিলেন। তিনি ১৩২৩-১৩২৫ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদের সভাপতি ছিলেন। তাঁর রচিত বাংলা রচনাগুলি অব্যক্ত গ্রন্থে সংকলিত হয়ে ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। বাংলায় লেখা তাঁর চিঠিপত্র পত্রাবলী নামে ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
সারাংশ
লেখক জগদীশচন্দ্র বসু যেদিন থেকে গাছ, পাখি, কীটপতঙ্গদের গভীরভাবে ভালোবেসেছেন, সেদিন থেকে তাঁর জীবনের একাকীত্ব দূর হয়েছে ও তাঁদের জীবনের অনেক কথাই তিনি বুঝতে পেরেছেন। মানুষের মতো তারাও যে আহার করে, দিন দিন বেড়ে ওঠে, পরস্পরের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে, কষ্টে পড়ে কেউ কেউ চুরি ডাকাতিও করে তা তিনি উপলব্ধি করতে পারেন। তিনি লক্ষ করেছেন “গাছের জীবন মানুষের জীবনের ছায়ামাত্র”। তাই তিনি উল্লেখ করেছেন জীবিতের লক্ষণ হলো গতি। ডিমের মধ্যে জীবন যেমন সুপ্ত অবস্থায় থাকে, তেমনই গাছের বীজ একপ্রকার কঠিন ঢাকনাযুক্ত আবরণের মধ্যে থাকে। নানা উপায়ে বীজ ছড়িয়ে পড়ে মাটিতে। কখনো পাখিদের দ্বারা আবার কখনো বাতাসের দ্বারা। প্রত্যেকটি বীজ থেকেই যে গাছ জন্মায় তা বলা যায় না। অঙ্কুর বের হতে প্রয়োজন মাটি, জল ও উত্তাপ।
হাতেকলমে
১.১ জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখো।
উঃ- জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা একটি বইয়ের নাম অব্যক্ত।
১.২ জগদীশচন্দ্র বসু কী আবিষ্কার করেছিলেন?
উঃ- জগদীশচন্দ্র বসু আবিষ্কার করেছিলেন “গাছের প্রাণ আছে” ।
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর একটি বাক্যে লেখোঃ
২.১ লেখক কবে থেকে গাছদের অনেক কথা বুঝতে পারেন?
উঃ- লেখক যেদিন থেকে গাছেদের ভালোবাসতে শিখলেন সেইদিন থেকেই তিনি গাছেদের অনেক কথা বুঝতে পারেন।
২.২ ‘ইহাদের মধ্যেও তাহার কিছু কিছু দেখা যায়’। – কী দেখা যায়?
উঃ- মানুষের মধ্যে যেসব সদগুণ আছে, গাছেদের মধ্যেও সেই সদগুণের কিছু কিছু দেখা যায়।
২.৩ জীবিতের লক্ষণ কী তা লেখক অনুসরণে উল্লেখ করো।
উঃ- জীবিতের লক্ষণ হলো গতি।
২.৪ ‘বৃক্ষ শিশু নিরাপদে নিদ্রা যায়’। – বৃক্ষশিশু কোথায় নিদ্রা যায়?
উঃ- কঠিন ঢাকনাযুক্ত বীজের মধ্যে বৃক্ষ শিশু নিদ্রা যায়।
২.৫ অঙ্কুর বের হবার জন্য কী কী প্রয়োজন?
উঃ- অঙ্কুর বের হওয়ার জন্য প্রয়োজন মাটি, উত্তাপ ও জল।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখোঃ
৩.১ ‘আগে এসব কিছুই জানিতাম না’। – কোন বিষয়টি লেখকের কাছে অজানা ছিল?
উঃ- গাছেরা কথা না বললেও এদের জীবন আছে, এরা আহার করে ও দিন দিন বেড়ে ওঠে। এসব বিষয় লেখকের কাছে অজানা ছিল।
৩.২ ‘ইহাদের মধ্যেও তাহার কিছু কিছু দেখা যায়’। – কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের মধ্যে কী লক্ষ করা যায়?
উঃ- এখানে গাছের কথা বলা হয়েছে।
মানুষের মধ্যে যে সদগুণগুলি আছে, যেমন – অন্যকে সাহায্য করা, একে অপরের বন্ধুত্ব, স্বার্থত্যাগ ইত্যাদি গণগুলি গাছেদের মধ্যেও লক্ষ করা যায়।
৩.৩ ‘গাছের জীবন মানুষের ছায়ামাত্র’। – লেখকের এমন উক্তি অবতারণার কারণ বিশ্লেষণ করো।
উঃ- “গাছের কথা” গল্পে লেখক যেদিন থেকে গাছেদের ভালোবাসতে শিখলেন সেদিন থেকে তিনি যেন তাদের কথা বুঝতে পারতেন। তিনি বুঝতে পারেন যে মানুষের মধ্যে যেমন অভাব, দুঃখ, কষ্ট আছে গাছেদের মধ্যেও এগুলি লক্ষ করা যায়। এমনকি কষ্টে পড়ে কেউ কেউ চুরি-ডাকাতিও করে। মানুষের মধ্যে যে সদগুণগুলি অর্থাৎ অন্যকে সাহায্য করা, একে অপরের সাথে বন্ধুত্ব, স্বার্থত্যাগ ইত্যাদি গুণ গাছেদের মধ্যেও দেখা যায়। মা নিজের জীবন দিয়ে যেমন সন্তানের জীবন রক্ষা করে তেমন সন্তানের জন্য নিজের জীবনদান উদ্ভিদের মধ্যেও দেখা যায়। এইসকল কথা ভেবে লেখক বলেছেন, গাছের জীবন মানুষের ছায়ামাত্র।
৩.৪ জীবনের ধর্ম কীভাবে রচনাংশটিতে আলোচিত ও ব্যাখ্যাত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করো।
উঃ- মানব জীবনের প্রধান ধর্ম গতি ও বৃদ্ধি। এই ধর্ম যেমন মানুষের মধ্যে আছে তেমন উদ্ভিদের মধ্যেও আছে। তারই উদাহরণ লেখক আলোচ্য নাট্যাংশে দেখিয়েছেন।
লেখক বলেছেন জীবিতের একটি লক্ষণ হলো গতি। এটি গাছের মধ্যে হঠাৎ দেখা না গেলেও লতার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গাছকে জড়িয়ে ধরার মধ্যে এই গতির বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়।
কঠিন ঢাকনা সমেত বীজের মধ্যে বৃক্ষ শিশু নিরাপদে নিদ্রা যায়। আর মাটি, উত্তাপ ও জল পেলে বীজ থেকে বৃক্ষ শিশু জন্ম নেয়। এইভাবে উদ্ভিদের মধ্যেও জন্মলাভের পর থেকে গতি ও বৃদ্ধি দেখা যায়। এইভাবেই লেখক আলোচ্য রচনাংশটিতে জীবনের ধর্ম আলোচিত ও ব্যাখ্যা করেছেন।
৩.৫ ‘নানা উপায়ে গাছের বীজ ছড়াইয়া যায়’। – উপায়গুলি পাঠ্যাংশ অনুসরণে আলোচনা করো।
উঃ- পাঠ্যাংশে লেখক নানা উপায়ে বীজ ছড়িয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। সেই উপায়গুলি হলো –
(১) পাখিরা ফল খেয়ে সেই ফলের বীজ ঠোঁটে করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়।
(২) বাতাসের দ্বারা অনেক বীজ দূরদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
(৩) মানুষেরা ধানের ক্ষেতে বীজ ছড়িয়ে ধান চাষ করে।
৩.৬ লেখক তাঁর ছেলেবেলার কথা পাঠ্যাংশে কীভাবে স্মরণ করেছেন, তা আলোচনা করো।
উঃ- আলোচ্য পাঠ্যাংশে লেখক গাছের বীজ বিভিন্ন উপায়ে ছড়িয়ে পড়ার প্রসঙ্গে নিজের ছেলেবেলার কথা স্মরণ করেছেন।
তিনি বলেছেন শিমূল ফল ফেটে তার বীজ তুলোর সঙ্গে উড়তো তখন তিনি সেই বীজের নাগাল পাওয়ার জন্য ছুটতেন কিন্তু হাত বাড়িয়ে যেই ধরতে যেতেন সেই বীজ তুলোর সঙ্গে আবার অনেক উপরে উঠে যেত।
৩.৭ ‘ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন বীজ পাকিয়া থাকে’। – উদ্ধৃতিটির সাপেক্ষে নীচের ছকটি পূরন করো।
বীজ | কোন ঋতুতে পাকে |
১ | আম – গ্রীষ্ম ঋতু |
২ | তাল – বর্ষা ঋতু |
৩ | কূল – বসন্ত ঋতু |
৪ | ধান – শরৎ ঋতু |
৫ | লিচু – গ্রীষ্ম ঋতু |
৩.৮ ‘পৃথিবী মাতার ন্যায় তাহাকে কোলে লইলেন’। – বিশ্বপ্রকৃতি সম্পর্কে লেখকের গভীর উপলব্ধি উদ্ধৃতিটিতে কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে তা আলোচনা করো।
উঃ- “গাছের কথা” গল্পে লেখক প্রাকৃতিক ঘটনার মধ্যে বিশ্বপ্রকৃতিকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। মা যেমন তার সন্তানকে পরম স্নেহে কোলে তুলে নেয় ও সমস্ত বিপদ থেকে আড়াল করে তাকে বড়ো করে, বিশ্ব প্রকৃতিও তেমনই গাছের বীজকে সন্তান স্নেহে কোলে তুলে নেয়। তার ধুলো ও মাটি দ্বারা তাকে আবৃত করে রাখে ও শীত, ঝড়ের হাত থেকে তাকে রক্ষা করে। এইভাবে বিশ্বপ্রকৃতি মায়ের ভূমিকা পালন করে।
৩.৯ ‘প্রত্যেক বীজ হইতে গাছ জন্মে কিনা, কেহ বলিতে পারে না’। – বীজ থেকে গাছের জন্মের জন্য অত্যাবশ্যকীয় শর্তগুলি আলোচনা করো।
উঃ- বীজ থেকে গাছের জন্মের জন্য অত্যাবশ্যকীয় শর্তগুলি হল – উত্তাপ, মাটি ও জল। প্রতিটি বীজ থেকে যে গাছ জন্মাবে তা কেউ বলতে পারে না। বীজ যদি পাথরের উপর পড়ে তবে সেই বীজ থেকে অঙ্কুর বের হওয়া সম্ভব নয়। বীজ যতক্ষন না মাটির উপর পড়ে ততক্ষন তা থেকে অঙ্কুর জন্মাতে পারে না। জল ছাড়াও বীজের অঙ্কুরোদগম সম্ভব হয় না। অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম বীজের বীজের অঙ্কুরোদগমের পক্ষে সহায়ক নয়।
৩.১০ ‘তখন সব খালি খালি লাগিত’। – কখনকার অনুভূতির কথা বলা হলো? কেন তখন সব খালি-খালি লাগিত? ক্রমশ তা কীভাবে অন্য চেহারা পেল তা পাঠ্যাংশ অনুসরণে বুঝিয়ে দাও।
উঃ- লেখক জগদীশচন্দ্র বসু যখন একা একাই মাঠে কিংবা পাহাড়ে বেড়াতে যেতেন, তখনকার অনুভূতির কথা বলা হয়েছে।
তখন সব খালি খালি লাগত কারণ তখন তিনি গাছ, পাখিদের নিবিড়ভাবে ভালোবাসতে পারেননি। তাই তাদের সঙ্গে তাঁর হৃদয়ের সম্পর্কও গড়ে ওঠেনি।
লেখক যখন থেকে গাছ, পাখি ও কীটপতঙ্গদের গভীরভাবে ভালোবেসেছেন, তখন থেকেই তাদের জীবনের অনেক কথা তিনি বুঝতে পারেন। তারাও যে আমাদের মতো আহার করে, দিন দিন বেড়ে ওঠে, মানুষের মতো তাদেরও চরিত্র-বৈশিষ্ট্য আছে তা তিনি বুঝতে পারলেন, ফলে তার একাকীত্ব আর হয় না।
৪. নির্দেশ অনুসারে বাক্য পরিবর্তন করোঃ
৪.১ আগে যখন একা মাঠে কিংবা পাহাড়ে বেড়াইতে যাইতাম, তখন সব খালি-খালি লাগিত। (সরল বাক্যে)
উত্তর। আগে একা মাঠে কিংবা পাহাড়ে বেড়াইতে যাইলে সব খালি-খালি লাগিত।
৪.২ তাদের অনেক কথা বুঝিতে পারি, আগে যাহা পারিতাম না। (হ্যাঁ-সূচক বাক্যে)
উত্তর। তাদের অনেক কথা বুঝিতে পারি, আগে যাহা অজানা ছিল।
৪.৩ ইহাদের মধ্যেও আমাদের মতো অভাব, দুঃখ-কষ্ট দেখিতে পাই। (জটিল বাক্যে)
উত্তর। আমাদের যেমন অভাব, দুঃখ-কষ্ট আছে তেমনই ইহাদের মধ্যেও তা দেখিতে পাই।
৪.৪ তোমরা শুষ্ক গাছের ডাল সকলেই দেখিয়ািছ। (না-সূচক বাক্যে)
উত্তর। তোমাদের মধ্যে এমন কেহ নাই যে শুষ্ক গাছের ডাল দেখো নাই।
৪.৫ প্রবল বাতাসের বেগে কোথায় উড়িয়া যায়, কে বলিতে পারে? (প্রশ্ন পরিহার করো)
উত্তর। প্রবল বাতাসের বেগে কোথায় উড়িয়া যায়, কেহ বলিতে পারে না।
৫. নীচের শব্দগুলির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখোঃ
কীটপতঙ্গ, স্বার্থত্যাগ, বৃক্ষশিশ, বনজঙ্গল, জনমানবশূন্য, দিনরাত্রি, দেশান্তরে, নিরাপদ।
উঃ-
কীটপতঙ্গ – কীট ও পতঙ্গ (দ্বন্দ্ব সমাস)।
জনমানবশূন্য – জন ও মানবশূন্য (দ্বন্দ্ব সমাস)।
স্বার্থত্যাগ – স্বার্থকে ত্যাগ (কর্ম তৎপুরুষ সমাস)।
দিনরাত্রি – দিন ও রাত্রি (দ্বন্দ্ব সমাস)।
বৃক্ষশিশু – বৃক্ষের শিশু (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)।
দেশান্তরে – অন্য দেশ (নিত্য সমাস, তাতে)।
বনজঙ্গল – বন ও জঙ্গল (দ্বন্দ্ব সমাস)।
নিরাপদ – নেই আপদ যেখানে (নঞ বহুব্রীহি সমাস)
৬. নিম্নরেখাঙ্কিত অংশের কারক-বিভক্তি নির্দেশ করোঃ
৬.১ ইহাদের মধ্যে একের সহিত অপরের বন্ধুত্ব হয়।
উঃ- বন্ধুত্ব – কর্মকারকে ‘শূন্য বিভক্তি।
৬.২ আর কিছুকাল পরে ইহার চিহ্নও থাকিবে না।
উঃ- ইহার – সম্বন্ধ পদে ‘র’ বিভক্তি।
৬.৩ বীজ দেখিয়া গাছ কত বড়ো হইবে বলা যায় না।
উঃ- বীজ – কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৬.৪ মানুষের সর্বোচ্চ গুণ যে স্বার্থত্যাগ, গাছে তাহাও দেখা যায়।
উঃ- গাছে – অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
৭. সন্ধিবদ্ধ পদগুলি খুঁজে নিয়ে সন্ধি বিচ্ছেদ করোঃ
৭.১ তাহার মধ্যে বৃক্ষশিশু নিরাপদে নিদ্রা যায়।
উঃ- নিরাপদে – নিঃ + আপদে।
৭.২ অতি প্রকাণ্ড বটগাছ, সরিষা অপেক্ষা ছোটো বীজ হইতে জন্মে।
উঃ- অপেক্ষা – অপ + ঈক্ষা।
৭.৩ এই প্রকারে দিনরাত্রি দেশদেশান্তরে বীজ ছড়াইয়া পড়িতেছে।
উঃ- দেশান্তরে – দেশ + অন্তর + এ
অতিরিক্ত প্রশ্ন-উত্তর
১. বীজ কীভাবে মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে?
উঃ- বাতাসের দ্বারা বা পাখিদের দ্বারা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় বীজ ছড়িয়ে পড়ে।
২. লেখকের কখন সব খালি খালি লাগত?
উঃ- লেখক যখন একা একা পাহাড়ে কিংবা মাঠে বেড়াতে যেতেন তখন তাঁর খালি খালি লাগত।
৩. মানব জীবনের প্রধান ধর্ম কী?
উঃ- মানব জীবনের প্রধান ধর্ম হলো গতি ও বৃদ্ধি।
৪. গাছেদের মধ্যে মানুষের মতো কি কি দেখা যায়?
উঃ- গাছেরাও মানুষের মতো আহার করে, দিন দিন বড়ো হয়ে ওঠে, পরস্পরের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে।