Class 8 Bengali chapter 13 পল্লীসমাজ

পল্লীসমাজ – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

লেখক পরিচিতি

রবীন্দ্র সমসাময়িক বাংলাসাহিত্যের জনপ্রিয়তম কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। মূলত ঔপন্যাসিক হলেও ছোটোগল্পকার হিসাবেও তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁর শ্রেষ্ঠ উপন্যাসগুলি হলো দেবদাস, বড়দিদি, বিরাজ বৌ, বিন্দুর ছেলে, পল্লীসমাজ, শ্রীকান্ত (১-৪ পর্ব), চরিত্রহীন, গৃহদাহ, পথের দাবী, মহেশ, অভাগীর স্বর্গ ও একাদশী বৈরাগী তাঁর বিখ্যাত ছোটোগল্প।

 

গল্পের সারাংশ

প্রবল বর্ষণে গ্রামের একমাত্র চাষযোগ্য এক বিঘা জমি টা রয়েছে সেটি জলমগ্ন হয়ে পড়ায় চাষিরা ভীষণ বিপদে পড়ে যদি রাত্রের মধ্যে মাঠ থেকে জল বের না করে দেওয়া যায় তাহলে সমস্ত ধান নষ্ট হয়ে যাবে ও তার সিরা এবছর না খেতে পেয়ে মারা যাবে মাঠে জল বের করার মতো একটাই রাস্তা আছে কিন্তু সেই পথে ঘোষাল ও মুখের একটি পুকুর থাকায় তারা সেখান থেকে জল বের করতে দেবে না কারণ সেই পুকুর থেকে বছরে তারা 200 টাকা মাছ বিক্রি করে তারা নিজেদের এই ক্ষতি করতে রাজি নয় চাষীদের অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও তারা যখন রাজি হলোনা চাষিরা বাধ্য হয়ে রমেশ এর কাছে সমস্যার সমাধানের জন্য গিয়ে পৌঁছয় ও তাকে অনুরোধ করে রমেশ যেন তাদের সমস্যার সমাধান করে ব্যাপারটা জানতে পেরে বাড়িতে গিয়ে তার দাদা দের স্ত্রীদের উপকার করতে বলে কিন্তু তার দাদারা নিজেদের 200 টাকার ক্ষতি সইতে রাজি নয় তখন যখন কাউকেই রাজি করাতে পারল না সে সিদ্ধান্ত নেয় সে নিজে থেকেই দিয়ে বাঁধ কেটে দেবে কিন্তু এ খবর জানতে পেরে রমা অন্য গায়ের থেকে লাঠিচার্জ ভাড়া করে তাদের রক্ষায় তাদের কে নিযুক্ত করেন কিন্তু রমেশ গ্রামের লোকের সাথে নিয়ে সেই লাঠি বাজদের হারিয়ে অবশেষে বাঁধ কেটে দেয় ও চাষীদের জমি থেকে জল বের করে দেয়।

 

হাতেকলমে

১.১ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা দুটি উপন্যাসের নাম লেখো।

উত্তর। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা দুটি উপন্যাসের নাম হলো—‘দেবদাস’ ও ‘পল্লীসমাজ’।

১.২ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা দুটি ছোটোগল্পের নাম লেখো।

উত্তর। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা দুটি ছোটোগল্প হলো—অভাগীর স্বর্গ’ ও ‘মহেশ’।

২. নীচের প্রশ্নগুলির দু-একটি বাক্যে উত্তর লেখো :

২.১ গোপাল সরকারের কাছে বসে রমেশ কী দেখছিল?

 উত্তর। গোপাল সরকারের কাছে বসে রমেশ জমিদারির হিসাবপত্র দেখছিল।

২.২ গ্রামের একমাত্র ভরসা কী ছিল?

উত্তর। গ্রামের একমাত্র ভরসা ছিল একশো বিষার মাঠ।

২.৩ ‘বোধ করি এই কথাই হইতেছিল’—কোন কথার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে?

উত্তর। বর্ষায় চাষিদের একশো বিষের মাঠ জলে ডুবে গেছে—এই কথার প্রতি ইজ্জিত করা হয়েছে।

২.৪ রমা আকবরকে কোথায় পাহারা দেবার জন্য পাঠিয়েছিল?

উত্তর। রমা আকবরকে বাঁধ পাহারা দেখার জন্য পাঠিয়েছিল।

২.৫ ‘পারবি নে কেন?’—উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কোন কাজটি করতে পারবে না?

উত্তর। উদ্দিষ্ট ব্যক্তি থানায় গিয়ে রমেশের নামে মিথ্যা নালিশ করতে পারবে না।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর লেখো :

৩.১ কুড়িজন কৃষক রমেশের কাছে এসে কেঁদে পড়ল কেন?

উত্তর। কুড়িজন কৃষক রমেশের কাছে এসে কেঁদে পড়ল কারণ বাঁধ কেটে জল বের করে না দিলে একশ্যে বিষের মাঠ ডুবে গিয়ে সমস্ত ধান নষ্ট হয়ে যাবে। একমাত্র রমেশই বাঁধ কেটে সে যাত্রায় তাদের রক্ষাকর্তা হতে পারে তাই কৃষকরা এসে তার কাছে কেঁদে পড়ল।

৩.২ রমেশ বেণীর কাছে জল বার করে দেবার হুকুম দেওয়ার জন্য অনুরোধ করল কেন?

উত্তর। রমেশ বেণীর কাছে জল বার করে দেবার হুকুম দেওয়ার জন্য অনুরোধ করল কারণ ওই বাঁধটি তাদের ছিল। জলার বাঁধ কেটে জল বার করে না দিলে একশো বিষের মাঠের সব ধান পচে নষ্ট হয়ে যাবে।

৩.৩ বেণী জল বার করতে চায়নি কেন?

উত্তর। বেশী জল বার করতে চায়নি কারণ বাঁধ কেটে দিলে জলের সঙ্গে দু-তিনশো টাকার মাছ তাদের ক্ষতি হবে।

৩.৪ ঘৃণায়, লজ্জায়, ক্রোধে, ক্ষোভে রমেশের চোখমুখ উত্তপ্ত হইয়া উঠিল রমেশের এমন অবস্থা হয়েছিল কেন?

উত্তর। রমেশের বাঁধ কেটে দেবার প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে বেশী ঘোষাল জানাল যে গরিব চাষিদের খাবার সংস্থান না থাকলে তারা জমি বন্ধক দেবার জন্য তাদের কাছে টাকার জন্য আসবে এবং এমনিভাবেই তারা চাষিদের জমি হস্তগত করবে। একথা শুনেই রমেশের এমন অবস্থা হয়েছিল।

৩.৫ ‘রমেশ বিস্ময়ে হতবুদ্ধি হইয়া গেল’–রমেশের বিস্ময়ের কারণ কী ছিল?

উত্তর। রমেশের বাঁধ কেটে জল বের করার অনুরোধ উপেক্ষা করে রমা জানাল দু-তিনশো টাকার মাছের লোকসান করে সে বাঁধ কাটাতে পারবে না। একথা শুনে রমেশ বিস্ময়ে হতবুদ্ধি হয়ে গিয়েছিল।

৩.৬ রমা রমেশের অনুরোধে রাজি হয়নি কেন?

উত্তর। রমার রমেশের অনুরোধে রাজি না হবার পিছনে দুটি কারণ ছিল। প্রথম কারণটি হলো এ বিষয়ে তার বড়দার মত ছিল না। আর দ্বিতীয় কারণ হলো দু-তিনশো টাকার মাছের ক্ষতি স্বীকার করা সম্ভব ছিল না তার পক্ষে।

৩.৭ ‘মানুষ খাঁটি কি না, চেনা যায় শুধু টাকার সম্পর্কে’—কে, কার সম্পর্কে একথা বলেছিল? সে কেন বলেছিল? একথা

উত্তর। রমেশ রমার সম্পর্কে একথা বলেছিল। রমা বাঁধ না কাটার কারণ হিসেবে জানায় যে নিজের ক্ষতি স্বীকার না করলে যদি তাকে নিষ্ঠুর আখ্যায় অভিহিত হতে হয় তাতে তার কিছু যায় আসে না। একথা শুনে রমেশ মৃদুস্বরে রমাকে বিদ্রূপ করে প্রশ্নোদ্ভূত কথাগুলি বলেছিলেন।

৩.৮ ‘রমা বিহ্বল হতবুদ্ধির ন্যায় ফ্যালফ্যাল করিয়া চাহিয়া রহিল’রমার এমন অবস্থা হয়েছিল কেন?

 উত্তর। রমেশের অনুরোধ উপেক্ষা করে রমা বাঁধ কাটায় সম্মতি দেয়নি। ক্ষুদ্ধ রমেশ রমাকে লক্ষ্য করে জানায় যে মানুষের দয়ার ওপর জুলুম করাটা সংসারে সবচেয়ে বড়ো পাপ।

৩.৯ রমা আকবরকে ডেকে এনেছিল কেন?

উত্তর। রমা আকবরকে তার পূর্ব বীরত্ব স্মরণ করে তাকে বাঁধ পাহারা দেওয়ার জন্য ডেকে এনেছিল এবং আকবরের বীরত্বের কাছে কীভাবে রমেশ টিকে থাকতে পারে তা দেখতে চেয়েছিল।

৩.১০ ‘মোরা নালিশ করতি পারব না’-কে একথা বলেছে? সে নালিশ করতে পারবে না কেন?

. উত্তর। রমার পীরপুরের বিশ্বস্ত প্রজা আকবর রমাকে একথা বলেছে। আকবর সাহসী, বীর লাঠিয়াল। তাছাড়া কৃষকদের উপকার করা ছোটোবাবুর নামে সে সদরে গিয়ে তার কাপুরুষতার নিদর্শন দেখিয়ে থানায় নালিশ জানাতে অক্ষম বলে জানিয়েছে।

৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

৪.১ নইলে আর ব্যাটাদের ছোটোলোক বলেচে কেন? বক্তা কে? এই উক্তির মধ্যে দিয়ে বক্তার চরিত্রের কী পরিচয়

উত্তর। আলোচ্য অংশটির বক্তা হলেন বেশী ঘোষাল। এই উদ্ভির মধ্যে বক্তার অহংকার, সমাজের দরিদ্র মানুষদের প্রতি প্রবর্ধনা এবং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার প্রবণতা ধরা পড়েছে। সর্বোপরি অভাবী প্রজাদের দারিদ্র্যের সুযোগে বন্ধক রাখা তাদের সম্পত্তি হাতিয়ে নেবার লোভও প্রকট হয়েউঠেছে।

৪.২ বেণী, রমা ও রমেশ— চরিত্র তিনটির তুলনামূলক আলোচনা করো। সেইসঙ্গে এই তিনটি চরিত্রের মধ্যে কোন চরিত্রটি তোমার সবথেকে ভালো লেগেছে এবং কেন তা জানাও।

উত্তর। বেণী ঘোষাল-ঘোষাল বংশের বড়ো ভাই। তিনি জমিদারির এক-তৃতীয়াংশের মালিক। তিনি অত্যন্ত অহংকারী ও দরিদ্র মানুষের প্রতি অত্যাচারের পক্ষপাতী। সর্বোপরি দেনার দায়ে দরিদ্র প্রজাদের সম্পত্তি হস্তগত করার লোভ তার মধ্যে বিদ্যমান যা তাকে নিষ্ঠুর করে তুলেছে। রমা–এই অংশের জমিদারির দ্বিতীয়া দাবিদার। তিনি প্রজাদের প্রতি সদয়া। কিন্তু রমেশের প্রতি ঈর্ষায় তিনি তার অনুরের

৪.৩ উপন্যাসের নামে পাঠ্যাংশটির নামকরণও ‘পল্লীসমাজ ই করা হয়েছে। নামকরণটি সুপ্রযুক্ত হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে মতামত জানাও

উত্তর। কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পল্লীসমাজ’ নামক উপন্যাসের অংশবিশেষ আমাদের পাঠ্যতালিকা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। লেখকের সমগ্র উপন্যাসটির নামকরণ অবিকৃত রেখেছেন সংকলকরা। পল্লীবাংলার সমাজব্যবস্থার একটি জীবন্ত চিত্ররূপ এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে। গ্রামের বাঁধরক্ষা এবং চাষিদের সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে রমা ও রমেশে সংঘাত এই অংশটুকুতে বর্ণিত হয়েছে। যেহেতু রচনাটিতে জমিদারশাসিত গ্রামবাংলার জমিদারদের রেষারেষি এবং যা সংকলিত অংশ বিষয়বস্তুরূপে বর্ণিত তাই লেখকপ্রদত্ত নামটি অক্ষত রেখে সংকলকরা যথার্থ কাজই করেছেন। তাই ঐ নামকরণ যথাযথ বিষয়ানুযায়ী এবং সার্থক।

৪.৪ ‘পল্লীসমাজ’ পাঠ্যাংশে সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার কোনো নিদর্শন পেয়ে থাকলে সে সম্পর্কে আলোচনা এ ধরনের ব্যবস্থার সুফল ও কুফল সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তর। ‘পল্লীসমাজ’ পাঠ্যাংশে জমিদারি ব্যবস্থা এবং দীনদুঃখী প্রজাদের শোষণ ও অত্যাচারের একটি খণ্ডচিত্র আমাদে সামনে প্রতিফলিত হয়েছে—যা সামস্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিচয়বাহী। এ ধরনের ব্যবস্থার সুফল অপেক্ষা কুফলই বেশি।এই ব্যবস্থার সুফল হলো জমিদারির অন্তর্গত এলাকায় সমস্যা সমাধানে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত এবং জমিদাররা ইচ্ছা করলে তার এলাকার উন্নয়ণসাধনে ব্রতী হতে পারতেন। কিন্তু এই ব্যবস্থায় একটা ধনী-দরিত্রের ব্যবধান সৃষ্টি হতো। ধনীরা দরিদ্রদের শোষণ করতেন। প্রাদের দুঃখ দুর্দশা নিরসনেজমিদাররা উদাসীন থাকায় তাদের অবস্থা অন্ধকারে আচ্ছাদিত ছিল। সর্বোপরি অত্যাচার, শোষণ ও উৎপীড়ন সাধারণ প্রজাদের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলত।

. সন্ধি করো :

উত্তর।

বৃষ + তি = বৃষ্টি,
সম্ + বরণ= সংবরণ,
কাঁদ্ + না = কান্না,
অতি + অন্ত = অত্যন্ত
অন + আত্মীয় = অনাত্মীয়,
এক + অন্ত = একান্ত।

. নীচের শব্দগুলির সন্ধি বিচ্ছেদ করো :

উত্তর।

নিরুত্তর = নিঃ+উত্তর,
আশ্চর্য = আঃ + চর্য,
তদবস্থা = তৎ + অবস্থা,
নমস্কার = নমঃ + কার, 
তারকেশ্বর = তারক + ঈশ্বর, 
যথার্থ = যথা + অর্থ,
প্রত্যাখ্যান = প্রতি + আখ্যান,

 . নীচে দেওয়া শব্দগুলির দল বিশ্লেষণ করো :

উত্তর।

অপরাহ— অ-পরাণ-হ,
অকস্মাৎ– অকস্মাৎ
আহ্বান– আহবাণ,
দক্ষিণ– দপ্-বিন,
উচ্ছিষ্ট— উছিয়-ট
উত্তপ্ত— উত্-তপ্-ত,
বিস্ফারিত– বিস্-ফা-রি-ত,
দীর্ঘশ্বাস— দীর-ঘ-শাস,
অত্মগ্লাবিত– অশ্-শু-প্লা-বি-ত,
হিন্দুস্থানি– হিন্দুস্-খা-নি,
অস্বচ্ছ– অ-স্বচ্‌-ছ।

৮. নীচে দেওয়া ব্যাসবাক্যগুলিকে সমাসবদ্ধ পদে পরিণত করো। কোনটি কী ধরনের সমাস তা নির্ণয় করো :

উত্তর।

জল ও কাদা-জলকাদা  – দ্বন্দ্ব সমাস।
নয় আহত –অনাহত -নঞ তৎপুরুষ সমাস।
ত্রি অধিক দশ– ত্রয়োদশ -মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
বেগের সহিত বর্তমান—সবেগ–সহার্থক বহুব্রীহি সমাস।
মড়ার জন্য কান্না—মড়াকান্না–নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস।
চণ্ডী পুজোর জন্য তৈরি মণ্ডপ– চণ্ডীমণ্ডপ- মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।

৯. নীচের বাক্যগুলিকে নির্দেশ অনুযায়ী পরিবর্তন করো :

৯.১ কথাটা রমেশ বুঝিতে পারিল না। (যৌগিক বাক্যে)

উত্তর। কথাটা রমেশ শুনিল কিন্তু বুঝিতে পারিল না।

৯.২ এ বাড়িতে আসিয়া যখন প্রবেশ করিল তখন সন্ধ্যা হয় হয়। (সরল বাক্যে)

উত্তর। সন্ধ্যার সময় এ বাড়িতে আসিয়া প্রবেশ করিল।

৯.৩ ওরা যাবে কি? (নির্দেশক বাক্যে)

উত্তর। ওদের যাওয়া হবে কিনা।

৯.৪ বেণীর এই অত্যন্ত অপমানকর প্রশ্নের উত্তর দিবারও তাহার প্রবৃত্তি হইল না। (হ্যাঁ-বাচক বাক্যে)

উত্তর। বেশীর এই অত্যন্ত অপমানকর প্রশ্নের উত্তরে সে নীরব রহিল।

৯.৫ তুমি নীচ, অতি ছোটো। (যৌগিক বাক্যে)

উত্তর। তুমি নীচ এবং অতি ছোটো।

৯.৬ পথে আর এতটুকু কাদা পাবার জো নেই দিদিমা। (প্রশ্নবোধক বাক্যে)

উত্তর। পথে কি আর এতটুকু কাদা পাবার জো আছে দিদিমা?

৯.৭ মাসি উপরে ঠাকুরঘরে আবদ্ধ থাকায় এ সকলের কিছুই জানিতে পারেন নাই। (জটিল বাক্যে)

 উত্তর। মাসি যেহেতু উপরে ঠাকুরঘরে আবদ্ধ ছিলেন, তাই এ সকলের কিছুই জানিতে পারেন নাই।

১০. নীচে দেওয়া শব্দদুটিকে দুটি আলাদা আলাদা অর্থে ব্যবহার করে বাক্যরচনা করো :

উত্তর।

যাত্রা-পালা – আমাদের গ্রামে দুর্গাপুজোয় যাত্রা হয়।
যাত্রা—রওনা দেওয়া—আমি বাবা-মায়ের সাথে মামারবাড়ির পথে যাত্রা করলাম।
বাঁধ—জল আটকানোর বাঁধ-নদী বাঁধের ক্ষণভঙ্গুরতায় প্রতিবছর বন্যা হয়।
বাঁধ—সীমা—বিমাতার অত্যাচার সহ্য করতে করতে সীমার ধৈর্যের বাঁধ একদিন ভেঙে গেল।

 

অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর

১. ঘোষাল ও মুখোশ জোড়া পুকুর থেকে বছরে কত টাকার মাছ বিক্রি করতো?

উত্তর। ঘোষাল ও প্রতিবছর পুকুর থেকে 200 টাকার মাছ বিক্রি করতো|

২. কে চাষীদের ব্যাপারটা রমেশকে বুঝিয়ে দিয়েছিল?

 উত্তর। গোপাল সরকার রমেশকে চাষীদের ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিয়েছিল|

৩. কে রমেশ এর কাছে 200 টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে

উত্তর। রমা রমেশ এর কাছে 200 টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে |

৪. চাষীদের কত বিঘা জমি বর্ষার জলে ডুবে গেছিলো?

উত্তর। চাষীদের এক বিঘা জমি বর্ষার জলে ডুবে গেছিলো |

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top